বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস-২০২৪ পালিত।
Related Activities
“ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে” বই এর মোড়ক উন্মোচন।
Related Activities
বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত
রাজধানীতে পালিত হলো বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস।প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ জনসচেতনতা মূলক র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বুধবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জনসচেতনতামূলক র্যালিটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়েছে। এসময় অংশগ্রহণকারী সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা শিশু ক্যান্সার প্রতিরোধে ক্যান্সার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
ক্যান্সার গবেষক ও ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ’র সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির বলেন, শিশু ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, নিয়মিত শরীর চর্চা, গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, মিনারেল ঘাটতি, হতাশা, বিবাহ পূর্ববর্তী রক্ত পরীক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এসময় তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ক্যান্সার সচেতনতায় এগিয়ে আসসার আহবান জানান।
সৈয়দ হুমায়ুন কবির বলেন, দেশে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে কোলন ও লিভার ক্যান্সার বেশি হয়। এর অন্যতম কারণ তারা শাক-সবজি খুব কম খায়। ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় বেশি খায়। কোমল পানীয়র মধ্যে টক্সিন নামের একটি উপাদান লিভার ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ি। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিশুরাও মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনকোলজি বিভাগে ২০১০ থেকে পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত ৪৫৫ শিশুকে ক্যান্সার আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, সঠিক ডায়াগনস্টিক করা গেলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
জানা যায়, শিশু ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সালে চাইল্ড ক্যান্সার ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) কর্তৃক এ দিবসটি পালন শুরু হয়। সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও এ দিবসটির অন্যতম লক্ষ্য হল মৃত্যুহার হ্রাস করা, এবং ক্যান্সার সম্পর্কিত ব্যথা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা শিশুদের দুর্দশা হ্রাস করা। এ লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ক্যান্সার নির্ণয় করা শিশুদের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ বেঁচে থাকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরে শিশুদের জন্য আইসিসিডির থিম হলো `নো মোর পেইন` এবং `নো মোর লস`, তাদের এবং পরিবারের জন্য বেঁচে থাকা।
শিশু ক্যান্সার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে-
১. সিসিআই অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতি বছর, তিন লাখেরও বেশি শিশুর জন্মের ১৯ বছরের মধ্যে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই শিশুদের মধ্যে প্রায় ১০ জনের ৮ জনই অল্প এবং মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে যেখানে তাদের বেঁচে থাকার হার মাত্র ২০ শতাংশ।
২. সারা বিশ্বে প্রতি ৩ মিনিটে একটি শিশু ক্যান্সারে মারা যায়, যদিও ৮০ শতাংশেরও বেশি শিশু ক্যান্সারের সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারে এবং মানসম্মত যত্নের সঙ্গে পূর্ণ ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।
৩. শিশু ক্যান্সারের মধ্যে সবচেয়ে বেশির ভাগই হলো লিউকেমিয়া (শিশুদের মধ্যে সব ক্যান্সারের এক তৃতীয়াংশ লিকিমিয়া), কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিউমার, নিউরোব্লাস্টোমা, নেফ্রাব্লাস্টোমা, মেডেলোব্লাস্টোমা এবং রটিনোব্লাস্টোমা ধরনের।
৪. শিশু ক্যান্সারের মাত্র কয়েকটি পরিচিত ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে- গর্ভ, চিকিৎসা পরিস্থিতি, সংক্রমণের সঙ্গে সংক্রমণ, বিকিরণের সঙ্গে যোগাযোগ, পূর্ববর্তী ক্যান্সারের চিকিত্সা, ইত্যাদি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার শাহীন,দৈনিক বঙ্গ জননী পত্রিকার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক আলী নিয়ামত, জীবন কুমার সরকার, এক্সিকিউটিভ সদস্য সুবীর কুমার বিশ্বাস,সোসাইটি এক্সিকিউটিভ সদস্য মইনুল তালুকদার,ভাইস প্রেসিডেন্ট সোলেমান খান সহ প্রমুখ।
Related Activities
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস -২০২৩ পালিত।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ । প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার স্যোসাইটি বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের ৬৪জেলা শহরে ওয়ার্ড ক্যান্সার স্যোসাইটি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে র্যালি ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।মূলত ক্যান্সার সচেতনতা ও ক্যান্সার রোধে করণীয় বিষয়াদি নিয়ে সারাদেশে সংস্থাটি নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।সভা,সেমিনার,আলোচনা ও জন সচেতনতামূলক র্যালিও পালন করছে আজ ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার স্যোসাইটি বাংলাদেশ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শনিবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সাত্তার হল রুমে “ক্যান্সার বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪- এই তিন বছরের জন্য একই থিম রাখা হয়েছে। ‘Close The Care Gap’। ক্যান্সার রোগীদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে দেখভালের সমস্যা দূর করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধান আলোচক, অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, (ভাইস চ্যান্সেলর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশেষ অতিথি থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্পদস্য মোঃ সেলিম রেজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোঃ জামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুর রহমান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লা, আলি নিয়ামত,প্রধান উপদেষ্টা, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার স্যোসাইটি বাংলাদেশ,ঢাবি এলামনাই নিউজ, সম্পাদক ও ক্যাট সভাপতি, দৈনিক বঙ্গজননী, খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক বাসস,বিএফইউজে’র কোষাধ্যক্ষ ও সাংবাদিক নেতা।
সভাপতিত্ব করবেন সৈয়দ হুমায়ুন কবীর,প্রেসিডেন্ট, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার স্যোসাইটি বাংলাদেশ।
এই দিনটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল নামক একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে উদযাপন করা হয়, যা পূর্বে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন নামে পরিচিত ছিল। এই সংস্থার সদর দপ্তর জেনেভায় অবস্থিত, যার ১৭০টিরও বেশি দেশে প্রায় দু’হাজার সদস্য রয়েছে।
দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই কর্কট রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা। ক্যান্সার একটি বড় রোগ, যার সময়মত চিকিৎসা প্রয়োাজন। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। দ্বিতীয় এ মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সচেতনতা ও শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে বাংলাদেশে ক্যান্সার ও এ রোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান।
নানা কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে।
‘আমাদের জীবনাচরণে এবং খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে, সেটি একটি কারণ। এছাড়া কারো পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে হতে পারে। কারো যদি বারো বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় এবং দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকে। সেই সঙ্গে তেজস্ক্রিয় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।’
গবেষণায় দেখা যায়, দেরিতে সন্তান গ্রহণ, আবার যাদের সন্তান নেই, বা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষ বেশি থাকলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে এবং অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।একই সঙ্গে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আর করার কিছু থাকে না।
স্তন ক্যান্সার সাধারণত দুভাবে শনাক্ত করা যায়: ১. স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ২. রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে।স্ক্রিনিং আবার দুভাবে করা যায়: ১. নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা। ২. ডাক্তার বা নার্সের সাহায্যে পরীক্ষা করা।
স্তন রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও প্রধানত দুটি পদ্ধতি রয়েছে: ১. মেমোগ্রাম বা স্তনের বিশেষ ধরনের এক্স রে। ২. স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম।
তাছাড়া এমআরআই এবং বায়োপসি এর মাধমেও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়ে থাকে।স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণের পরবর্তী পর্যায় হল এর সঠিক চিকিৎসা করা। স্তন ক্যান্সারের যে চিকিৎসাগুলো প্রধানত রয়েছে তা হলো: সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও হরমোন থেরাপি।
সার্জারির মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। তবে কোন ধরনের চিকিৎসা রোগীর জন্য উপযুক্ত, তা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন।যেহেতু স্তন ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, তাই ঝুঁকি এড়ানোর জন্য স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যান্সার কথাটি শোনামাত্র মানুষের মনে সৃষ্টি হয় এক বিভীষিকার। মহিলাদের কাছে তেমনি এক বিভীষিকার নাম স্তন ক্যান্সার। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমেরিকায় প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে একজন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন মৃত্যুবরণ করেন। স্তন ক্যান্সারের এ পরিসংখ্যান খুবই আশঙ্কাজনক। আমাদের দেশে এ ধরনের কোনো পরিসংখ্যান হয়নি, তাই স্তন ক্যান্সারের সঠিক হার জানা যায়নি। তবে এ হার যে খুব কম নয় তা বলা বাহুল্য।
যে কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে : স্তন ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনো সম্পূর্ণরূপে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি, তবে মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বংশগত বিষয় : স্তন ক্যান্সারের একটি কারণ হলো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ত্রুটিযুক্ত জিন। এসব জিনের মধ্যে রয়েছে BRCA 1 এবং BRCA 2 ।
চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের রোগ তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলি নির্ভর করে ক্যান্সারটি কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটি কাছাকাছি কোনও অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তারা বলেন, ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এটা কী ধরনের রোগ, কী কী কারণে ঝুঁকি বাড়ে, প্রতিরোধের জন্য কী কী করণীয় সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।
ক্যান্সার প্রতিরোধী যেসব খাবার খেতে হবে: অনেক বেশি আঁশযুক্ত খাবার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমাতে পারে। এর ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% পর্যন্ত কমে। মটরশুঁটি, তাজা ফল, আস্ত শস্য এবং ফ্ল্যাভনয়েড, ক্রুসিফেরাস ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট(ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি) ও ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ সবজি খেতে হবে।পেঁয়াজ, রসুন, পেঁয়াজ পাতা ইত্যাদি সবজিগুলো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে এবং ক্যান্সার কোষের বিভক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে। এইধরনের সবজি কাঁচা খেলেই সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। সয়াবিন ও অন্য সয়া পণ্য যেমন- টফু ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু মিষ্টি স্বাদের ও রিফাইন্ড সয়া পণ্য যেমন- সয়া দুধ ও সয়া তেল এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন চিনি ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। চিনি ক্যান্সার জিনকে সক্রিয় করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে জ্বালানী হিসেবে কাজ করে।
করতে হবে শারীরিক ব্যায়াম: যেসব নারীরা দৈনিক ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করেন তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যারা ব্যায়াম করেনা তাদের চেয়ে কম।প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা সম্ভব হলে শুধু ক্যান্সারযুক্ত গোটা ও আশপাশের কিছু অংশ অপারেশন করে ফেলে দিলে এবং পরবর্তীকালে রেডিওথেরাপি দিলে রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেন।
Recent Comments